2 products

Collection: পেঁপে বীজ

পেঁপে একটি ফল যা মানুষ কাঁচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। এটি একটি ছোট আকৃতির অশাখ বৃক্ষবিশেষ। লম্বা বোটাঁযুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় এবং সর্পিল আকারে কান্ডের উপরি অংশে সজ্জিত থাকে। প্রায় সারা বছরেই ফুল ও ফল হয়। কাঁচা ফল সবুজ, পাকা ফল হলুদ বা পীত বর্ণের। এটি পথ্য হিসেবে ও ব্যবহার হয়। কাঁচা, পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়; তবে কাঁচা অবস্থায় সব্জি এবং পাকলে ফল। কাঁচা ফল বাইরের দিক গাঢ় কালচে সবুজ এবং পাকলে খোসা সহ কমলা রং ধারণ করে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এটি "হঁইয়া" নামে পরিচিত

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া অবদানকারী। "পেঁপে।" উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ। উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ, ৬ অক্টো। ২০২২। ওয়েব। ২৭ ডিসে. ২০২২।

গুনাগুনঃ

রক্ত কাশে, রক্তার্শে, মূত্রনালীর ক্ষতে, দাদ ও সোরিয়াসিস-এ, কোষ্ঠকাঠিণ্যে এবং কৃমিতে হিতকর। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপেতে প্রচুর পেপেন এনজাইম আছে যা মানুষের পাকস্থলীতে আমিষ হজমে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া অবদানকারী। "পেঁপে।" উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ। উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ, ৬ অক্টো। ২০২২। ওয়েব। ২৭ ডিসে. ২০২২।

পেঁপে চাষ পদ্ধতিঃ

উন্নত জাতঃ বারি পেঁপে-১, রেড লেডি, বাদশা রবি , খারিফ দুই মৌসুমেই চাষ করা যাবে ।


বপনের সময়ঃ আশ্বিন (সেপ্টেম্বর- অক্টোবর) এবং পৌষ (ডিসেম্বর- জানুয়ারি)।


চাষপদ্ধতি:
পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫X৪ ইঞ্চি . আকারের ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি, মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ ভর্তি করে ব্যাগের তলায় ২-৩টি ছিদ্র করুন। তারপর সদ্য তোলা বীজ হলে রৌদ্রোজ্জ্বল, সহজে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম উর্বর জমি বীজতলার জন্য বেছে নিতে হবে ।


বীজের পরিমানঃ
জাত ভেদে শতক প্রতি ১.৫–২.৫ গ্রাম ।


সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম সারের পরিমাপ
ইউরিয়া ৪০০-৫০০ গ্রাম
টিএসপি ৫০০ গ্রাম
এমওপি ৪৫০-৫০০ গ্রাম
জিপসাম ২৫০ গ্রাম
জিংক ২০ গ্রাম
বোরন ২০ গ্রাম

সার প্রয়োগের পদ্ধতিঃ
চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে প্রতি গর্তে ১৫ কেজি গোবর সার,টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও বোরিক এসিড দিতে হবে। ইউরিয়া ও এমওপি সার চারা রোপনের ১ মাস পর থেকে প্রতি মাসে একবার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া গাছে প্রতি ৫০ গ্রাম ও এমওপি ৫০ গ্রাম। গাছে ফুল এলে এই মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। ফল তোলার ২ মাস আগে সার দেয়া বন্ধ করতে হবে।

পোকামাকড়ঃ
• পেঁপের মিলিবাগ/ছাতরা পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
• পেঁপের সাদা মাছি পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


রোগবালাইঃ
• পেঁপের ড্যাম্পিং অফ রোগ দমনে অতিরিক্ত পানি বের করার ব্যবস্থা করুন। গোড়ায় ছাই ছিটিয়ে রাখতে পারেন।লাগানোর প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: এমকজিম অথবা ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে বীজ শোধন করে নিন।
• পেঁপের গোড়া পচা রোগ দমনের জন্য কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন- এইমকোজিম ২০ গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১২-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করতে হবে অথবা প্রোপিকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন টিল্ট ৫ মিলি/ ১ মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।
• পেঁপের শুটি মোল্ড দমনের জন্য মিলিবাগ পোকা দমন করতে হবে । মিলিবাগের আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার ( ২ মুখ ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে )১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
• পাতায় হলদে মোজাইক ও পাতা কোকড়ানো রোগের বাহক পোকা (জাবপোকা) দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার।
• পেঁপের উইল্টিং রোগের রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ১% বর্দোমিকচার বা কুপ্রাভিট ৪ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে জিপসাম অথবা চুন প্রয়োগ করুন।


সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন । ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।


আগাছাঃ
সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করুন । চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে। প্রতি বর্গমিটারে রবি মৌসুমে ৫০-৬০ টি এবং খরিফ মৌসুমে ৪০-৫০ টি চারা রাখা উত্তম।


সেচঃ অতিরিক্ত সেচ গোড়া পচন রোগ এর অনুকূল। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত সেচের পানি জমিতে জমতে দিবেন না। এর পর জো এলে কোদাল/নিড়ানি দিয়ে মাটির ওপরের চটা ভেঙে দিন। মাটিতে রস কম থাকলে বপনের ৭-১০ দিনের মধ্যেই একটি সেচ দিন। সাধারণত ২ সপ্তাহ পর পর ২-৩ বার সেচ দিন।


আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রবি মৌসুমে নিম্ন তাপমাত্রা ( ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে ) থেকে চারা রক্ষার জন্য বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে ।


ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ১৪০-১৫০ কেজি।


সংরক্ষনঃ ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করা জায়গাতে ফল ঘষা বা চাপ খায় না এমন ভাবে সংরক্ষন করুন। চটের ছালা মাটিতে বিছিয়ে ২ থেকে ৩ দিন পাকা পেঁপে রাখা যাবে। কাঁচা পেঁপে ৩ দিন পর্যন্ত রাখা যায় আবার পানিতে ভিজিয়ে কাঁচা পেঁপে ৪ থেকে ৫ দিন রাখা যায়।


তথ্যসূত্রঃ বামিস

You may also like

1 of 5